মৃত্যুনিবন্ধন
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া জন্ম ওমৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী-লিঙ্গনির্বিশেষেসব ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা পেতেএই নিবন্ধন জরুরি। ২০০৬ইং সালের পরে যারা মারা গেছেন তাদের অনলাইনের মাধ্যমে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে।
মৃত্যুনিবন্ধন কেন করবেন
ওয়রিশান সনদ পেতে, সম্পদ/জমি জমার মৃত ব্যক্তির অংশ ওয়ারিশানদের নামে নামজারি করতে, মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড, আদমশুমারি, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন, পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তি প্রভৃতি কাজের জন্য মৃত্যু নিবন্ধন প্রয়োজন। তদুপরি মৃত্যু নিবন্ধিত না হলে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা নির্ণয় সম্ভব হবে না। মৃত্যু নিবন্ধন করতে হলে মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে। জন্ম নিবন্ধন করা না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সম্পাদনের পর মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে।
কোথায় করাবেন
মৃত্যু নিবন্ধন সনদ নিতে হবেইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে। দপ্তরেরদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনাকে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন সনদ তৈরি করে দেবেন। তবে অবশ্যইআপনাকে আপনার সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদেযোগাযোগ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটাআবেদনপত্র আপনি সংগ্রহ করতে পারেন, যা ‘মৃত্যু নিবন্ধন আবেদনপত্র’ হিসেবেপরিচিত। আবেদনপত্রে মৃত ব্যক্তির বিবরণ (নাম, মৃত্যুর তারিখ, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, মৃত্যুরস্থান,মৃত্যুর কারন,পিতা,মাতা ওস্বামী/স্ত্রীরবিবরণ, ঠিকানা, ইউপি সদস্যের প্রত্যয়ন, স্বাস্থ কর্মি/ ডাক্তারের প্রত্যয়ন, আবেদনকারীর প্রত্যয়নইত্যাদি ঘর পূরণ করতে হবে।)আবেদনপত্রটি জমা দিলে আপনাকে নিচেরদিকের একটি অংশ কেটে দেবে। ওই অংশটি আবেদনপ্রাপ্তির রসিদ হিসেবে ধরা হয়।ওখানে মৃত্যু সনদ দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করা হয়।মৃত্যু সনদ হওয়ার পরে আপনি ওয়ারিশান সনদ নিতে পারবেন।
মৃত্যু তথ্য প্রদানকারী
মৃত ব্যক্তির পুত্র বা কন্যা বা অভিভাবক মৃত্যুর ৩০ দিনের মধ্যে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।
এছাড়া নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন:
মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন ফরমটি পেতে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস